নারীরা পিরিয়ড চলাকালীন পেটে ব্যথা, মুড সুইংয়ের সমস্যাতে ভোগেন। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আরো বড় একটি সমস্যা হল পিরিয়ড র্যাশ । পিরিয়ড র্যাশের কারণে হাঁটাচলা ও কখনো কখনো বসতেও সমস্যা হয়। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং ত্বকে অনবরত ন্যাপকিনের ঘষা লাগার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং পিরিয়ড র্যাশ হয়। ত্বকের এই লাল ভাব ও র্যাশ দূর হতে তিন থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আবার অনেক সময় আরো বেশিদিন সময় লাগে স্বাভাবিক হতে। সহজ কিছু উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। করণীয় জেনে নিন।
>> ২০টি নিমপাতা সামান্য পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে । পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ত্বকে লাগাতে হবে এছাড়া গোসলের পরেও ব্যবহার করতে পারেন । এতে পিরিয়ডের সময় হওয়া ত্বকের র্যাশ দূর করতে পারে । নিমপাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার উপশম করে । তাই ত্বকের লালভাব,জ্বালা, বা র্যাশ দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করলে উপকার মিলবে । এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা নিরাময় করে যার ফলে পিরিয়ডের সময় হওয়া র্যাশের উপশমে নিম পাতা ভালো কাজ করে ।
>> বরফ যেকোনো ব্যথা বেদনা উপশম করতে পারে। অনেক সময় পিরিয়ড র্যাশের ফলে জ্বালা অনুভব হয় । এই ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় । র্যাশ কমাতে বরফ ব্যবহার করতে একটা পরিষ্কার কাপড়ে বেশ কয়েকটা বরফ রেখে যে অংশে র্যাশ হয়েছে তার চারপাশে কম্প্রেস করতে হবে । এতে র্যাশের জ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে ।
>> নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের র্যাশ দূর করতে ভিষণ উপকারী । এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আক্রান্ত স্থানটিকে ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । তারপর তুলোয় সামান্য নারকেল তেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে । পিরিয়ড র্যাশ দূর করতে কাজ করবে ম্যাজিকের মত ।
উল্লেখ্য, পিরিয়ড র্যাশ দূর করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন-প্লাস্টিক প্যাডের পরিবর্তে কটন প্যাড ব্য়বহার করতে হবে । এছাড়াও পিরিয়ড কাপ বা ট্যাম্পন ব্যবহার করা যেতে পারে। সুগন্ধি প্যাড ব্যবহার না করাই ভালো। এতে থাকা কেমিকেল ত্বকের ক্ষতি করে ।
সতর্কতা: প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা অন্তর ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে ।
সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮